দেখেছো কি তাকে

 ঝরাপাতা উড়ে তাকে ছুঁয়ে বলে, "যা, যা রে

এখানে বড়োই ফিকে সব, তুই যা, যা, যা"

তাই সে যায়, ছুটে বেড়ায় ধূসর প্রান্তরে

মেঘের গায়ে হাত বুলায়, রংধনুকে চায়


দেখেছো কি তাকে ঐ নীল নদীর ধারে


আনমনা মেঘ দূরে যায় কেন, কে জানে

কিছুতেই তার কাছে ধরা দেয় না,

তবুও তার মেঘে ওড়ার অন্তহীন টানে

ভিজে হাওয়ায় পাখিরা গায়, রংধনুকে চায়


দেখেছো কি তাকে ঐ নীল নদীর ধারে


জানি একদিন মেঘের ঠিকানা সে পাবে

বলবে পাখিরা, "ওরে মেঘ, তুই গা, গা, গা

তোর কাছেই আসবে গান, তোর কাছেই যাবে

যারা হারায় রুপকথায়, রংধনুকে চায়"


দেখছো কি তাকে ঐ নীল নদীর ধারে

বৃষ্টি পায়ে পায়ে তার কী যেন কী নাম

জলে ভেজা মাঠে আকাশে হাত বাড়ায়

মেঘের আড়ালে ভেসে থাকা সেই রংধনুকে চায়

তারায় তারায়

সুন্দরীতমা আমার, তুমি নীলিমার দিকে তাকিয়ে

বলতে পারো: এই আকাশ আমার...

নীলাকাশ রবে নিরুত্তর, মানুষ আমি চেয়ে দেখো

নীলাকাশ রবে নিরুত্তর, যদি তুমি বলো আমি

একান্ত তোমার...

আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো

তুমি আমার...


ক্যামেলিয়া হাতে এই সন্ধ্যায়, ভালোবেসে যত খুশি

বলতে পারো: এই ফুল আমার

ফুল শুধু ছড়াবে সৌরভ, লজ্জায় বলবে না কিছুই

ফুল থাকবে নীরব...

আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো

তুমি আমার


জোসনা লুটালে, তুমি অধিকার নিয়ে

বলতে পারো: এই জোসনা আমার

এই চাঁদ খুঁজবে না উত্তর, যদি একবার বলো আমাকে

আমি থাকবো না নির্বাক

আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো তুমি আমার


শিরোনামঃ তারায় তারায়

ব্যান্ডঃ ফিলিংস 

অ্যালবামঃ নগর বাউল

লিরিকঃ কবি শামসুর রাহমান এর কবিতা অবলম্বনে 

কণ্ঠ জেমস

অঝোর ধারায় বর্ষা ঝরে

 অঝোর ধারায় বর্ষা ঝরে সঘন তিমির রাতে।

নিদ্রা নাহি তোমায় চাহি’ আমার নয়ন-পাতে॥

  ভেজা মাটির গন্ধ সনে

  তোমার স্মৃতি আনে মনে,

বাদ্‌লী হাওয়া লুটিয়ে কাঁদে আঁধার আঙিনাতে॥

হঠাৎ বনে আস্‌ল ফুলের বন্যা পল্লবেরই কূলে,

নাগকেশরের সাথে কদম কেয়া ফুট্‌ল দুলে দুলে।

নবীন আমন ধানের ক্ষেতে হতাশ বায়ু ওঠে মেতে,

মন উড়ে যায় তোমার দেশে পূব-হাওয়ারই সাথে॥